সৃষ্টির সূচনা অধ্যায়
Table of Contents
সৃষ্টির সূচনা অধ্যায় – সহিহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) – ৫ম খণ্ড
বুখারি হাদিস নং ৩০৭৫
হাদীস নং ৩০৭৫
সাদাকা ইবনে ফাযল রহ………..সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যা রহ. থেকে বর্ণিত যে, উম্মে শারীক রহ. তাকে খবর দিয়েছেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে গিরগিট বা রক্তচোষা জাতীয় টিকটিকি হত্যার করার আদেশ দিয়েছেন।
বুখারি হাদিস নং ৩০৭৬
হাদীস নং ৩০৭৬
উবাইদা ইবনে ইসমাঈল রহ………..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পিঠে দুটি সাদা রেখা বিশিষ্ট সাপকে মেরে ফেল। কেননা এ জাতীয় সাপ দৃষ্টিশক্তিকে নষ্ট করে আর গর্ভপাত ঘটায়।
বুখারি হাদিস নং ৩০৭৭
হাদীস নং ৩০৭৭
মুসাদ্দাদ রহ………..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লেজকাটা সাপকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন, আর বলেছেন, এ জাতীয় সাপ দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে এবং গর্ভপাত ঘটায়।
বুখারি হাদিস নং ৩০৭৮
হাদীস নং ৩০৭৮
আমর ইবনে আলী রহ……….ইবনে আবু মুলাইকা রহ. থেকে বর্ণিত যে, ইবনে উমর রা. প্রথমে সাপ মেরে ফেলতেন। পরে মারতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার তাঁর একটি দেয়াল ভেঙ্গে ফেলেন।
তাঁতে তিনি সাপের খোলস দেখতে পান। তখন তিনি বললেন, দেখ ! কোথায় সাপ আছে? লোকেরা দেখল (এবং তাকে জানাল) তিনি বললেন, একে মেরে ফেল। এ কারণে আমি সাপ মেরে ফেলতাম।
এরপর আবু লুবাবার সাথে আমার দেখা হল। তিনি আমাকে জানালেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পিঠের উপর দুটি রেখা বিশিষ্ট এবং লেজকাটা সাপ ব্যতীত অন্য কোন সাপকে তোমরা মেরো না।
কেননা এগুলো গর্ভপাত ঘটায় এবং চোখের জ্যোতি নষ্ট করে দেয়। তাই এ জাতীয় সাপ মেরে ফেল।
বুখারি হাদিস নং ৩০৭৯
হাদীস নং ৩০৭৯
মালিক ইবনে ইসমাঈল রহ………..ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি সাপ মেরে ফেলতেন। এরপর আবু লুবাবা রা. তাকে একটি হাদীস শুনালেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে বসবাসকারী সাপ মারতে নিষেধ করেছেন। ফলে তিনি সাপ মারা বন্ধ করে দেন।
বুখারি হাদিস নং ৩০৮০ – পাঁচ শ্রেণীর অনিষ্টকারী প্রাণীকে হারম শরীফেও হত্যা করা যাবে
হাদীস নং ৩০৮০
মুসাদ্দাদ রহ………..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পাঁচ প্রকার প্রাণী অনিষ্টকারী। এদেরকে হারাম শরীফেও হত্যা করা যায়। এগুলো হল: বিচ্ছু, ইঁদুর, চিল, কাক ও পাগলা কুকুর।
বুখারি হাদিস নং ৩০৮১
হাদীস নং ৩০৮১
আবদুল্লাহ ইবনে মাসলামা রহ………..আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পাঁচ প্রকার প্রাণী অনিষ্টকারী প্রাণী যাদেরকে কেউ ইহরাম অবস্থায়ও যদি মেরে ফেলে, তাহলে তার কোন গুনাহ নেই। এগুলো হল: বিচ্ছু, ইঁদুর, পাগলা কুকুর, কাক ও চিল।
বুখারি হাদিস নং ৩০৮২
হাদীস নং ৩০৮২
মুসাদ্দাদ রহ…………জাবির রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা পাত্রগুলো ঢেকে রেখো, পান-পাত্রগুলো বন্ধ করে রেখো, ঘরের দরজাগুলো বন্ধ করে রেখো আর সাঁঝের বেলায় তোমাদের শিশুদেরকে ঘরে আটকিয়ে রেখো।
কেননা, এ সময় জ্বিনেরা ছড়িয়ে পড়ে এবং কোন কিছুকে দ্রুত পাকড়াও করে। আর নিদ্রা কালে বাতিগুলো নিভিয়ে দেবে। কেননা, অনেক সময় ছোট ছোট অনিষ্টকারী ইঁদুর প্রজ্বলিত সলতে যুক্ত বাতি টেনে নিয়ে যায় এবং গ্রহবাসীকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
ইবনে জুরাইজ এবং হাবীব রহ. আতা রহ. থেকে “কেননা এ সময় জ্বিনেরা ছড়িয়ে পড়ে” এর পরিবর্তে “শয়তানেরা ছড়িয়ে পড়ে” বর্ণনা করেছেন।
বুখারি হাদিস নং ৩০৮৩
হাদীস নং ৩০৮৩
আবদা ইবনে আবদুল্লাহ রহ……….আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে এক গুহায় ছিলাম।
তখন “আল-মুরসালাতি উরফা” সূরাটি অবতীর্ণ হয়। আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখ থেকে সূরাটি শিখে নিচ্ছিলাম। এমনি সময় একটি সাপ বেরিয়ে আসল তার গর্ত থেকে। আমরা তাকে মারার জন্য দৌড়ে যাই। কিন্তু সে আমাদের আগেই ভেগে গিয়ে গর্তে ঢুকে পড়ে।
তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে তোমাদের অনিষ্ট থেকে যেমন রক্ষা পেয়েছে, তোমরাও তেমন তার অনিষ্ট থেকে রক্ষা পেয়েছে।
ইসরাঈল রহ. আমাশ, ইবরাহীম, আলকামা রহ.-ও আবদুল্লাহ রা. থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। রাবী আবদুল্লাহ রা. বলেছেন, আমরা সূরাটি তাঁর মুখ থেকে বের হবার সাথে সাথে শিখে নিচ্ছিলাম।
আবু আওয়ানা মুগীরা রা. থেকে অনুরূপই বর্ণনা করেছেন।আর হাফস, আবু মুআবিয়া ও সুলাইমান ইবনে কারম, আমাশ, ইবরাহীম, আসওয়াদ রহ.-ও আবদুল্লাহ রা. থেকে অনুরূপই বর্ণনা করেছেন।
বুখারি হাদিস নং ৩০৮৪
হাদীস নং ৩০৮৪
নাসর ইবনে আলী রহ………..ইবনে উমর রা. সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন মহিলা একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল।
সে না তাকে খাবার দিয়েছিল, না তাকে ছেড়ে দিয়েছিল, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবু হুরায়রা রা. সূত্রেও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।
বুখারি হাদিস নং ৩০৮৫
হাদীস নং ৩০৮৫
ইসমাঈল রহ………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নবীগণের মধ্যে কোন এক নবী একটি গাছের নীচে অবতরণ করেন।
এরপর তাকে একটি পিঁপড়ায় কামড়ে দেয়। তিনি তাঁর প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সম্বন্ধে নির্দেশ দিলেন। এগুলো গাছের নীচ হতে বের করে দেয়া হল। তারপর তিনি নির্দেশ দিলে পিপঁড়ার বাসা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হল।
তখন আল্লাহ তাঁর প্রতি ওহী নাযিল করলেন, ‘তুমি একটি মাত্র পিঁপড়াকে কেন সাজা দিলে না?
বুখারি হাদিস নং ৩০৮৬ – তোমাদের কারো পানীয় দ্রব্যে মাছি পড়লে ডুবিয়ে দেবে। কেননা তার এক ডানায় রোগ জীবাণু থাকে আর অপরটিতে থাকে প্রতিষেধক।
হাদীস নং ৩০৮৬
খালিদ ইবনে মাখলাদ রহ…………..উবাইদ ইবনে হুনায়ন রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা রা.-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কারো পানীয় দ্রব্যে মাছি পড়লে তাকে তাঁতে ডুবিয়ে দেবে।
তারপর তাকে উঠিয়ে ফেলবে। কেননা তার এক ডানায় থাকে রোগ জীবাণু আর অপর ডানায় থাকে এর প্রতিষেধক।
বুখারি হাদিস নং ৩০৮৭
হাদীস নং ৩০৮৭
আল-হাসান ইবনে সাব্বাহ রহ………আবু হুরায়রা রা. থেকে সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক ব্যভিচারিণী কে (এ কারণে) ক্ষমা করে দেওয়া হয় যে, একদা সে একটি কুকুরের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল।
তখন সে দেখতে পেল কুকুরটি একটি কূপের পাশে বসে হাঁপাচ্ছে। রাবী বলেন, পানির পিপাসায় তাকে মৃতপ্রায় করে দিয়েছিল। তখন ব্যভিচারিণী মহিলাটি তার মোজা খুলে তার ওড়নার সাথে বাঁধল।
তারপর সে (তা কূপে ছেড়ে দিয়ে) কূপ হতে পানি তুলে আনল (এবং কুকুরটিকে পানি পান করালো) এ কারণে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হল।
বুখারি হাদিস নং ৩০৮৮
হাদীস নং ৩০৮৮
আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ………..আবু তালহা রা. সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে কুকুর এবং প্রাণীর ছবি থাকে সে ঘরে ফেরেশতাগণ প্রবেশ করেন না।
বুখারি হাদিস নং ৩০৮৯
হাদীস নং ৩০৮৯
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………….আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুকুর মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।
বুখারি হাদিস নং ৩০৯০
হাদীস নং ৩০৯০
মূসা ইবনে ইসমাঈল রহ………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তবে কৃষিখামার অথবা পশুর পাল রক্ষার কাছে নিয়োজিত শিকারী কুকুর এর ব্যতিক্রম।
আরও পড়ুনঃ
জিহাদ অধ্যায় – সহিহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) – ৫ম খণ্ড
জিহাদ অধ্যায় – সহিহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) – ৫ম খণ্ড
জিহাদ অধ্যায় – সহিহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) – ৫ম খণ্ড
জিহাদ অধ্যায় – সহিহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) – ৫ম খণ্ড
জিহাদ অধ্যায় – সহিহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) – ৫ম খণ্ড